পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। উৎকৃষ্ট মাটি ও উপযুক্ত আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশে বিশ্বের সেরা মানের পাট উৎপন্ন হয়। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে পাট এবং পাট শিল্পের সাথে জড়িত। বিশবাজারেব চাহিদার শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ কাঁচাপাট এবং শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পাট রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত। জাতীয় রপ্তানি আয়ে পাট খাতের অবস্থান বর্তমানে একক কৃষিপণ্য হিসেবে দ্বিতীয় এবং উক্ত খাতে জিডিপির শতকরা হার ২.৮০ । তাই পাট খাতের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে পাট খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সার্বিকভাবে পাট খাতকে নিয়ে পাট অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, পাট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ এবং পাটের বৈদেশিক বাণিজ্য তদারকির জন্য তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে ১৯৫৩ সালে প্রথমে জুট বোর্ড গঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩ সালের এপ্রিল মাসে জুট বোর্ড বিলুপ্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাট বিভাগ সৃষ্টি করা হয় এবং ১৯৭৬ সালে স্বতন্ত্র পাট মন্ত্রণালয় সৃষ্টি হলে এর অধীনে সংযুত্তু দপ্তর হিসেবে পাট পরিদপ্তরের সৃষ্টি হয়। তৎপরবর্তীতে কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের সুপারিশ আলোকে ১৯৭৮ সালে পাট ও পাটপণ্য পরিদর্শন পরিদপ্তর নামে অপর একটি পরিদপ্তর সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনসহ (১) পাট পরিদপ্তর এবং (২) পাট ও পাটপণ্য পরিদর্শন পরিদপ্তর দু’টিকে একীভূত করে পাট অধিদপ্তর গঠিত হয়। পরিদপ্তর দু’টি একীভূত করার সময়ে জনবলের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫৭৭ ও ২১৬ জন সহ সর্বমোট ৭৯৩ জন। বিলুপ্ত ২টি পরিদপ্তরের অনুমোদিত জনবল ৭৯৩ হতে ২৯৯ টি পদ হ্রাস করে পাট অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যনির্বাহের জন্য সরকার ১৯৯৬ সালে ৪৯৪ জনবল অনুমোদন করে ২০০০ সালে সাংগঠনিক কাঠামোসহ টিওএন্ডই অনুমোদিত হয়। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিবেচনায় পাট অধিদপ্তরের আওতায় বাসতবায়িত ‘‘সমন্বিত উফশী পাট ও পাটবীজ উৎপাদন’’ শীর্ষক সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পের ১১ ক্যাটাগরির ১২১ সংখ্যক জনবল অস্থায়ীভাবে রাজস্বখাতে স্হানান্তরিত হয়। এছাড়া পাট অধিদপ্তরের বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামোর আওতায় একটি আইটি সেল গঠনের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীন সমন্বয়ের মাধ্যমে ০৭ টি পদ বিলুপ্ত করে নতুন ০৬ (ছয়) টি পদ সৃজিত হয়। অর্থাৎ পাট অধিদপ্তরের অনুমোদিত মোট জনবল ৬০৪।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস